শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর লালমনিরহাটে পালিত হলো বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস লালমনিরহাটে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত লালমনিরহাটে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আরডিআরএসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত
আ’লীগ নেতা শফিকুল বিদ্যালয়ের সভাপতি পর কেলেঙ্কারি বাড়ছে!

আ’লীগ নেতা শফিকুল বিদ্যালয়ের সভাপতি পর কেলেঙ্কারি বাড়ছে!

Exif_JPEG_420

লালমনিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব সাপটানা এলাকায় অবস্থিত পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অশ্লীলভাবে গালি-গালাজ ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় ওই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম।

 

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে বিদ্যালয় দ্রুত ছুটি দিয়ে সটকে পরে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

 

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম ফেরদৌস আলী। তার বাবার নাম বছির মিয়া। তিনি পার্শ্ববর্তী বানিয়ার দিঘী এলাকার বাসিন্দা।

 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষক ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বোরখা পড়ায় সবার সামনে অশ্লীল ভাষাসহ “বেশ্যা” বলে গালি দেন। এরপর সে বাড়িতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে তার অভিভাবককে এ ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনার পর সোমবার (৫ জুন) ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসা মাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায় এবং বিদ্যালয়ের মুল ফটকে অবস্থান নেয়। সেখানে সংবাদকর্মীদের উপস্থিত বুঝতে পেরে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শিক্ষক রুমে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন ধরনের তথ্য না দেয়ার হুমকি দিয়ে রাগান্বিত হয়ে সকল শিক্ষককে বাড়ি যেতে বলেন।

 

এরপর কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়া মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের দেখে অশোভন আচরণ করতে থাকেন। এবং সেখান থেকে কৌশলে প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম সরওয়ারকে পাঠিয়ে দেন। এরপর মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন, তখন সাংবাদিকরা ঘটনার বিষয়ে পুনঃরায় জানতে চাইলে স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শুভর বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে শফিকুল ইসলাম সটকে পড়েন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানায়, পকেট কমিটির মাধ্যমে গোপনে ওই স্কুলের সভাপতিত্ব পান শফিকুল ইসলাম। শফিকুলের ছত্র-ছায়ায় শিক্ষক ফেরদৌস আলম নিজের খেয়াল খুশিমতো শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ ও মারধর করে আসছে। ফেরদৌসের এ ঘটনা বিদ্যালয়ে চাউর হওয়ার পরে তাকে তিনি পালিয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।

 

আরও জানা যায়, মোঃ শফিকুল ইসলাম লালমনিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের রহমান ছেলে। এক সময় মোঃ শফিকুল ইসলাম পুলিশের সোর্স ও দালালী করে চললেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পান। পদ পেয়ে একের পর এক বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তেমনি ছাত্রী ও শিক্ষকের এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিবারটির বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone